♥ ১ম_পর্ব ♥
-আচ্ছা, আমাকে তোমার কাছে কেমন লাগে?
(কথাটা শুনে কেমন আনমনা লাগছে,তবুও মেয়েটাকে খেপানোর জন্য ফাজলামু করলাম)
-হুমমম তুমি সুন্দর..
কিন্তু ক্রাশ খাওয়ার মত না..😜
-তাই?😒
তাহলে আমার পিছনে লাইন মারতা কেন..?😜
-আমি লাইন মারতাম..? কই না তো...?
উল্টা তুমিই তো বাসায় এসে আমার রুমে উকিঝুকি মারতা...😜
-সেটাই আমার ভুল ছিল..?😫
(কান্না কান্না কন্ঠে বললো)
-শুধু ভুল না মহা ভুল..😜
-আমি বলেই তোমার মত ইয়ে ছেলেকে বিয়ে করছি..😍
-ইয়েটা কি য়ে..?
-জানি না যাও তো..?
-উহু বলোই না...!
-ঝগাড়াটে পোলা...😜
-আমিই শুধু ঝগড়া করি..?
আর আপনি রবীন্দ্রসঙ্গীত চর্চা করেন...?😜
-জ্বি না..
আমি কিউট লক্ষ্মী একটা মেয়ে....😍
-একহাতে যে তালি বাজে না..
নিশ্চই জানো...?
-মানে কি..?
তুমি বলতে চাও আমি ঝগড়া করি...?😒
-চোরের মায়ের বড় গলা..😜
-এই শুনেন আপনার সাথে আর কথা নাই..😫
আর কথাই বলবো না...😒
-দেখাই যাবে..?
-কি..?
-মার্কেট করতে গেলে ঠিকই আমার কথা মনে পরবে.😜
তখন কই যাবে কথা না বলে...?
-পকেট কাটবো..😜
-আয় হায়..😲
বলে কি আমি পকেট মার বউ বিয়ে করছি...😫
আর পকেট মারের জায়গা নাই আমার বিছানায়...😜
-কি বললা...
তোমার বিছানা...?
সারাদিন কে এত সুন্দর পরিপাটি করে গুছিয়ে রাখে..?
আমার বিছানা আমি শুইবো বলে দিলাম..😜
-এএহ...!
এ বাড়ির সবই আমার...!
বিছানাও আমার...!
শুধু পকেট মার বউ বাদে....😜
কথাটা শুনে ইরাবতী অভিমানী মুখ করে ভারী গলায় বললো....
-হ্যা তাইতো...
সবই তো আপনার,আমি এই বাড়ির কে..?
আপনারই বা কি হই..?
আমার তো কোন অধিকার নেই কারো উপর..?
আমি আসলে ভুলেই গিয়েছিলাম আমি কে...?
মাফ করবেন...
(ধপাস কররে বসে পড়লো ড্রেসিং টেবিলে)
রাব্বী বুঝলো ইরাবতী বেশ অভিমান করেছে...
ইরাবতী হয়তো জানেই না যে অভিমানী মুখেটায় তাকে কতটা সুন্দর লাগে...
ইরার চোখ দিয়ে টুপ করে এক ফোটা বৃষ্টি পরলো... বুঝলাম ইরা কষ্টও পেয়েছে...
নিষ্পাপ বাচ্চাদের মতো করে রেখেছে মুখটা...
কি করবো এমন অভিমানী মেয়ে কে খেপাতে ভাল লাগে, একটু বেশী করেছি মনে হয়...
এখনি অভিমান ভাঙ্গাতে হবে ইরাবতীর...
-এই শুনো..
-কারো সাথে কোন কথা নেই...
চোখ দিয়ে পানি পরেই চলছে...
>ইরাবতী....
-....(চুপ)
-আমার লক্ষী বাবুই পাখিটা...?
-....(চুপ করেই রইলো)
-এই যে সোনা পাখিটা আমার...
>>....(চুপ)
বুঝলাম এভাবে কাজ হবে না...
-জান আমার ময়না পাখি শুনো না...
তোমাকে না কাঁদলে কেমন বাচ্চা বাচ্চা লাগে...
নিষ্পাপ শিশু মনে হয়...
-.......(চুপ)
(কিছুতেই কাজ হচ্ছে না)
-বাবুই কথা বলো...
সরি আর এমন বলবো না...
শুনো,একটু কথা তো বলো...
ইরাবতীর হাত ধরতেই,পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণ করলো ইরা...
এক ঝটকা দিয়ে হাত ছাড়িয়ে নিয়ে বললো...
-কাঁদাতে ভাল লাগে না তোমার....
কাঁদাও যত খুশি, আমিও কাঁদতে রাজি আছি....
কারো সাথে কথা নেই...
(আরো বেশী অভিমান ঢেলে দিয়ে বললো)
-এই শুনো না,আর কান্না করো না....
কাঁদলে না তোমার চোখের কাজল লেপ্টে পেত্নীর মত লাগবে তোমায়...
আমি আবার পেত্নী অনেক ভয় পাই....
-তাই বা পেত্নীই লাগবে...
পুরাতন হয়ে গেছি না...
আর পেত্নী হলেও তোর ঘাড় মটকাবো...
-ছি...কি বলো....
তুমি তো আমার একমাত্র মহারাণী...
তোমাকে অনেক ভালবাসি...
সারা জীবন এ ভাবেই ভালবাসতে চাই...
স্বামীর কেউ ঘাড় মটকায়..?
-হু কচু,সবই ঢং...
কিছুক্ষণ পরই এসবের কিছুই খুজে পাওয়া যাবে না...
-উহু সত্যি খুব ভালবাসি..
এসো তোমার কাজল মুছে গেছে লাগিয়ে দেই...
হাতের তালুর মধ্যে শার্টের হাতা গুটিয়ে ওর লেপ্টে যাওয়া কাজল মুছে দিয়ে, নিজ হাতে কাজল লাগিয়ে দিলাম ইরাবতীর চোখে..
যদিও খুব ভাল ভাবে দিতে পারি না..
তবুও ইরার কাছে এটাই সবচেয়ে আনন্দের...
বড় পাওয়া ইরা আনন্দ মনে চেপে রেখেই রাব্বি কে বললো...
-কাজল লাগিয়ে দিয়েছো বলেই ভেবো না আমি গলে গেছি...😜
-আবার কি হলো..?
(হয়তো, এই কারণ এ নারীকে রহস্যময়ী বলা হয়েছে,
একটু বুঝা যায় না)
-কিছু না...
তবে, আমাকে কাঁদানোর জন্য শাস্তি পেতে হবে আপনাকে..?
-যথা আজ্ঞা ইরাবতী...
-আজ কে রাতের খাবার নেই আপনার...😜
-কি বলো তুমি..?😫
জানো না আমি সব সহ্য করতে পারি ক্ষুধা না,আর সময় মত না খেলে বুক পেট ব্যাথা করে..😫
-তা তো আর আমি জানিনা..
জানতেও চাই না...
(ঠোঁটের কোণে দুষ্টু হাসি)
-হু, জানো না আর কি বা জানবে..?
কাজ কাজ তো একটাও পারো..?
রান্নাটা ছাড়া,আর এটা যেনই এত তালুকদারি...!
-বেশ তো কে মানা করছে তোমায় তালুকদারি করতে.. একটা ডিম ও তো ভাজতে পারো না..!
অকর্মার ঢেঁকী একটা..😜
-কি আমি অর্কমা...?
এখনি দেখাবো কে অকর্মার ঢেঁকী..?
-পারলে না, দেখাবেন. 😜
আমি জানি তো আপনি কি পারেনন...?😜
-আচ্ছা, তাহলে কিছু একটা তো করতে হয়...
পারি কি না দেখাচ্ছি....
বলেই রান্না ঘরের এলাম ভাব দেখিয়ে,হাজার হোক সম্মান এর ব্যাপার...
রান্না ঘরে গিয়ে কিছু বুঝতেছি না, কোনটা চিনি,কোনটা লবণ.....
-ডিমটা কোথায় গো..?
-ফ্রিজে..
-পিয়াজ..?
-কুচি করা আছে ফ্রিজে...?
(যাক, কাটে রেখেছে, নয় তো কাটতে গিয়ে আমি কাঁদতাম)
-কড়াই..?
-চুলার নিচে দেখ..
-দিয়াশলাই...?
-চুলার সাইডে দেখ..
ইরাবতী,আমার সব প্রশ্নের জবাব দিচ্ছে..
আর মিটিমিটি হাসছে...😊
হঠাৎ মৃদু আতর্নাদ মত এলো রান্না ঘর থেকে..ইরার কানে...
ইরা দ্রোড়ে গিয়ে দেখলো,
ডান হাত আঙ্গুল এলোমেলো ঝাঁকাচ্ছি,আগুনের ছেকা লাগছে..
ইরাবতী আঙ্গুলটা ধরেই মুখে নিয়ে নিল..
চোখে শাসন মুখে অভিমান নিয়ে তাকালো....
ভয় ভয় চোখে তাকিয়ে দেখলাম...
একটু ভয় কাটিয়ে ভুবন জয় করা একটা হাসি দিলাম..
সাথে সাথে আঙ্গুল ছেড়ে দিল ইরাবতী...
আর অভমানি সুরে বললো...
-শয়তানটা আবার হাসে...?
-কি করবো বলো..?
-যদি বেশি কিছু হতো তবে কি হতো ভেবেছো..?
-কিছু হয়নি তো চিন্তা করো না..
(মিষ্টি একটা হাসি দিয়ে)
-আমি কিন্তু এক দিক থেকে খুশি হইছি....
-কিহ..?
আমার কষ্টে তুমি খুশি..?
-হুম..কারন এখন আর অফিস থেকে ফেরার সময় কেরাম খেলতে পারবে না...
আর তারাতারি বাসায় চলে আসবা...
আমার বাসায় একা একা থাকতে বুঝি ভয় করে না রাত করে আসো কেন..?
♥ ২য় এবং শেষ পর্ব ♥
-হুম..কারন এখন আর অফিস থেকে ফেরার সময় কেরাম খেলতে পারবে না...
আর তারাতারি বাসায় চলে আসবা...
আমার বাসায় একা একা থাকতে বুঝি ভয় করে না রাত করে আসো কেন..?
-আমার কষ্ট দেখে তোমার খুশি লাগছে, ভাল খুশি হও..
আরও লেট করে বাসায় আসবো...
-আহারে বাবুটা রাগ করছে মনে হয়...
চলো ভাত খাবে চলো..
-খাবো না..
ক্ষুধা নেই..
-আমি বলছি না আসতে..
(রাগি চোখে তাকিয়ে)
-হাতে ব্যাথা আছে তো..
-সম্যাসা নেই তার জন্য..
চামিচ আছে চামিচ দিয়ে খাবেন..
টানতে টানতে নিয়ে গেলো ইরাবতী..
আমিও মনে মনে শয়তানি বুদ্ধি আটছিলাম..
নিজ হাতে খাবো না তার জন্য, যা করতে হয় তাই করবো আর কি..
খাবার টেবিল এ বসে না খেয়ে বারবার ইরার দিকে তাঁকাচ্ছি..
বুঝতে পারলো মেয়েটা...
-কি সম্যাসা খাচ্ছো না,কেন..?
-ব্যাথা তো..
-চামিচ ও ব্যাথা..?
-চামিচ এ না হাতে ব্যাথা..
উফ, কি ব্যাথা..
(একটু অভিনয় করে)
-হয়েছে হয়েছে আর অভিনয় করতে হবে না..
অনেক করেছেন..?
এদিকে আসেন, হা করেনন খাইয়ে দিচ্ছি...
(হুর, মিয়া আপনারা হা করছেন কেরে..
বিয়ে করে খান...)
-আমার থেকে একটু বেশি আদর নিতেই এসব করো...
বুঝি তোমার সব ফন্দি (ইরা)
(আল্লাহ এই মাইয়া এত বুঝে কেম্তে..)
-ক্ষতি আছে কি তাতে..?
-তাই বলে, আমাকে কষ্ট দিয়ে তুমি এসব করবা..?
-উহু..
আর কখনও কষ্ট দিবো না আমার ইরাবতী কে...
নাও এবার তুমি একটু খেয়ে নাও..
ইরা মুখে খাবার তুলে দিতে দিতে..
-এই কি করো..?
হাত জ্বলবে তো..?
-কিছু হবে না..
তুমি মিষ্টি দিয়ে দিবা..
-যাহ..
পাজি, বদ, দুষ্ট কোথাকার..!
(লজ্জায় মুখ লাল করে..)
-শুধুই তোমার..
-ঢং..
-ঢং করে হলেও ভালবাসি তো..
-কচু বাসো..
শুধু আমিই বাসি..
-আমি বাসি না...
-দেখি নি তো কখনো কিছু করতে..?
-কি করতে হবে..?
-কিছু পারলে তো করবা...
-তাই..?
-হুম..
-আলতো করে ইরার ঠোঁট এ আমার ঠোঁট ডুবিয়ে দিলাম..
মেয়েটা আগের থেকেও বেশী লজ্জায় রাঙ্গিয়ে গেলো..
মনে হচ্ছে লজ্জাবতী নেয় নুয়ে পরছে..
লজ্জা কাটানোর জন্য বললাম..
-একটা গল্প শুনবা..?
-হুম বলো..
-একটা মেয়ে ছিল অনেক সুন্দর..
-কি...?
(অনেক রাগি চোখ করে)
-না, শুধু মেয়ে না ছেলেও ছিলো..
-হুম..তারপর..?
-মেয়েটা ছিল ছেলেটার বোনের স্বামীর মামাতো বোনের....
বাসাটাও ছিলো পাশাপাশি..
-চেনা মনে হচ্ছে গল্পটা..?
-একটু একটু..
-ছেলেটা মাঝে মাঝে তার বোনের বাসা যেত, আর মেয়েটা তার ভাবি কে দেখার ছলে ছেলেটা কে দেখতে আসতো..
-মেয়েটা কি করবে বলো..?
ছেলেটা তো গাধা ছিল, শুধু গাধা না মস্ত বড় গাধা..
তাই তো মেয়েটা নিজ থেকেই লাইন মারতো..
-হুমম...
প্রতিদিনই দেখা হতো না তাদের..
শুক্রবার ছেলেটা তার বোনের বাসায় যেত..
মেয়েটা তাই আগে ভাগেই এসে বসে থাকতো ছেলেটাকে দেখার জন্য..
-ঠ্যাকা পরছে আমার..
কাউকে দেখার জন্য আগেই গিয়ে বসে থাকতে...
-আহা..
শুনোই না..
-কি শুনবো..?
কখনো ভালই তো বাসো নি..
ভীতুর ডিম কোথাকার..
-এইযে..
আমি মোটেও ভীতু না..
-দেখতাম ই তো ভাইয়ার সামনে চুপসে যাইতে..
-জানতাম এটাই বলবা..
-নয় তো কি..?
ভাগ্যিস,ভাইয়া কে কখনও বুঝতে দিতাম না, না হলে তো কল্পনার বাহিরে পিটনা খাই তো..
(বলেই হা হা হা করে হেসে উঠলো)
কি মায়াময় সেই হাসি, এই হাসির প্রেমে পড়েছিলাম...
একদিন বিকালে আপার বাসায় আসছিলাম..
দেখলাম, কলেজ এর ড্রেস পড়া একটা মেয়ে হেঁটে আসছে..
দুষ্টুমির ছলে বলেছিলাম..
-আপনাদের বাসা কোথায় গো..?
-ইরা রাগ্বানিত চোখ নিয়ে বলেছিলো..
চাঁদের দেশে..
তখন চিনতাম না, ইরা আমার বোনের নন্দন..
-এমন করে কথা বলেন..কেন?
আর চাঁদের দেশে যেতে কত টাকা ভাড়া লাগে..?
আবার ইরা..
ডানে বামে তাকিয়ে..
ভাইয়া বলে ডাক দিলো...
আমিও ভ্রো দ্রোড় দিলাম...
-কি হলো, যে পরিমাণ হা করে আছেন, মশা মাছি সব ডুকে পরবে তো..(ইরা)
-ভাবছিলাম...
-কি?
-তোমার আমার দেখা হওয়ার কথা..
-তা তো জানি...
তার বুকের সাহসটা...
-অনেক সাহসী ছিলো..
সাথে ভালবাসাটাও...
-ঢং করতে হবে না...
সে তো ভালই বাসে নি..
আর ভালবাসা প্রকাশ করতে..
বা, হিরোগিরী দেখাতে হয় ভাল ভাবে তাই না..?
-নাহহ..
অনেক ভালবাসে তো...
আর কপালে তার ওই পেত্নীটার নজর পরেছিলো,তাই তার আজ এই দশা..
-এক্সকিউজ মি...
আমি মোটেও নজর দেইনি, উল্টো একটা ফাজিল নজর দিয়েছিলো...
-হুম হুম দেখেছি কে নজর দিয়ে ছিলো..
তাই তো আর কপালে একটা মেয়েও পটাতে পারলাম না...
-লজ্জা করে না...?
বউয়ের সামনে আরেক মেয়ের নাম নিতে...
লুচু কোথাকার..
-আমি লুচু..?
প্রকৃত লুচু তো সেই যে আশেপাশের সবাইকে লুচু ভাবে..
-কে লুচু জানাই আছে...
অফিসের প্রত্যেকটা মেয়ে কলিগ কে লাইন মারতে না..
-একদম না..
-কথা লুকাবে না...?
গাছের ও খাবে আবার তলায় ও কুড়োবে লুচু লুচু...
-একটুও না..
আমি শুধু তোমারই ...
-কচু...
-সত্যি..
তুমিই আমার পৃথিবী....
(কথাগুলি ক্রমশ সিরিয়াস হচ্ছে দুজনেই জানে..
মাত্র এক মাস হলো বিয়ের দুজনই দুজনকে খুব ভালবাসে..
সারাদিনই দুষ্টুমি, ঝগড়া, মান অভিমান লেগে থাকবে দুজনার মাঝে...
কিন্তু দিন শেষে দুজনেই হয়ে ওঠে দুজনার পৃথিবী...
তবে এই ঝগড়া, রাগ, মান অভিমানটা যেন চিনি ছাড়া চায়ের মতো..)
-আর আমি..
তোমার মাঝেই যে পৃথিবীটা খুজে পেয়েছি জানো না..?
(বুকের মাঝে বুক লুকাতে লুকাতে)
-হুম,জানি তো...
তবু ঝগড়া করা লাগবেই..?
-শুধু তো তোমার সাথেই..
অন্য কারো সাথে তো না..
-চল রুমে চল..
ঠান্ডা খুব আজ...
-আমার না পায়ে ব্যাথা...
-সে কি..!
নিজেই তো হেটে এলেন আবার আমাকেও টেনে নিয়ে এলেন..?
-কেন যে এই ফাজিলটার নজরে পরলাম..
ফাজিলটা কিছু বুঝে না..
(অভিমানী সুরে)
-ইশারা ইঙ্গিত বুঝতে আর বাকি রইলো না..
ইরা কে কোলে তুলে নিয়ে বললাম..
ফাজিলটা নজর দেইনি, বরং মিষ্টি একটা মেয়ের নজর পরছে বলেই আজ আটার বস্তা তুলতে হচ্ছে"
-তাই না..
বুকে আলতো করে দুটো ঘুসি দিয়ে..
ঠোটে ভালবাসার পরম আনন্দের মিষ্টি দিতে লাগলো।
ভালবাসাটা যেন এভাবেই আজীবন চলতে থাকে সবাই দোয়া করবেন....
সমাপ্ত