ভালবাসা মানে বিশ্বাস, ভালোবাসা মানে সাহস। ভালোবাসা মানে ভয় ভেঙে বাধা পেরিয়ে কাছে আসার। আর সেই সব কাছে আসার গল্প নিয়ে সাজানো হয়েছে " কাছে আসার গল্প " ব্লগ সাইটি।☞হাজারো 'কাছে আসার গল্প' শুনতে আমাদের সাথেই থাকুন সব সময়।

Search

Latest update

Banner

24/09/2018

কাছে আসার গল্প : না বলা ভালোবাসা



গল্পঃ না_বলা_ভালোবাসা #লেখকঃ সাব্বির

নীল একটু তাড়াহুড়া করেই ভার্সিটিতে ঢুকলো। হঠাৎ করেই সে কিছু একটার সাথে ধাক্কা খেয়ে পড়ে গেলো। একটু ভালো করে লক্ষ্য করতেই সে বুঝতে পারলো ধাক্কাটা সে একটা হাইলেভেলের সুন্দরী মেয়ের সাথে খেয়েছে। নীল মনে মনে অনেক ভয় পেয়ে গেলো এই বুঝি সুন্দরীটা তাকে ইচ্ছামতো বকাবকি করে শেষ করে দিবে। এমনকি তার চরিত্র নিয়েও প্রশ্ন তুলবে, যেমনটা সচারচার হয়। নীলও নিজেকে প্রস্তুত করে নিয়েছে যদি কিছু বলে তাইলে সেও
ছেড়ে কথা বলবে না। কেনো তারা বুঝে না ভার্সিটিতে ছেলেরা সুন্দরী মেয়েদের সাথে তো ধাক্কা খাওয়ার জন্যই আসে। পাব্লিক বাসেও ধাক্কা খাওয়া যাবে না, রাস্তা-ঘাটেও যাবে না তাইলে ধাক্কাটা কোথায় খাবে আমাদের মতো নিরহ সিংগেল পোলাপাইন গুলো। কিন্তু আশ্চার্যের ব্যাপার সুন্দরীটা নীলকে কথাগুলা বলার সুযোগ না দিয়ে চলে গেলো। নীল তো পুরাই অবাক হলো এটা কি আসলেই মানুষ ছিলো নাকি অন্য কেউ ছিলো। মানুষ হলে তো আট-দশটা মেয়ের মতো পার্ট নিয়ে সব রাগ ঝাড়তো, রাগ না ঝাড়লেও অন্তত রাগী একটা লুক নিতো কিন্তু এতো দেখি নিজেই অপরাধীর মতো চলে যাচ্ছে। দেখে তো মনে হচ্ছে কোনো বিষয়ে সে চিন্তিত।
.
এই যে মিস। (নীল)
জ্বি, বলুন। (অন্তি)
এইটা আপনার বই না??(নীল)
আরে হ্যা, এইটা আপনি কই পেলেন??(অন্তি)
সেদিন যে আপনার সাথে ধাক্কা খেয়ে পড়ে গেলাম তারপর তো আপনি একবারও পিছনে ফিরে তাকালেন না। ওইখানেই বইটা ফেলে রেখে গেছিলেন। (নীল)
অহ, থ্যাংকস, এইটা আমার অনেক প্রিয় একটা বই। অনেক খুঁজেছি অথচো এইটা আপনার কাছে।(অন্তি)
আরে থ্যাংকস কিসের, আমারই উল্টা আপনাকে সরি বলা উচিৎ কারন সেদিন আমার জন্য আপনি পড়ে গেলেন। যাই হোক কোন ডিপার্টমেন্টে আপনি??(নীল)
কেমিস্ট্রি, আপনি??(অন্তি)
গুড, আমরা তো একই ডিপার্টমেন্টের, তাইলে তো আমরা বন্ধু হতেই পারি।(নীল)
হুম, তা তো হতেই পারি।(অন্তি)
.
এইভাবেই চলতে থাকে নীল এবং অন্তির বন্ধুত্ব।
অন্তি ছিলো অনেক মিশুক এবং হাসি-খুশি টাইপের মেয়ে। সব সময়ই অন্তির মুখে হাসি লেগেই থাকতো আর সহজেই সবার সাথে বন্ধুত্ব করতো। অন্তির এই গুন গুলি নীলকে বরাবরি আকৃষ্ট করতো। নীল আস্তে আস্তে অন্তির প্রেমে পড়ে যায়। অন্তির প্রতি তীব্র দুর্বল হওয়ায় সে এক পর্যায়ে অন্তিকে তার মনের কথা জানিয়ে দেয়। নীলের মুখে এমন কথা শুনে অন্তি অনেকটাই আশ্চর্য হয়ে যায়। অন্তি নীলকে সরাসরি না করে দেয়। নীল অন্তিকে অনেক অনুরোধ করে। কিন্তু অন্তি বরাবরের মতোই বলতে থাকে আমি তোকে শুধু বন্ধুই ভাবি আর কিছু না।
কিন্তু কেনো?? (নীল)
তোর কোনো প্রশ্নের উত্তর আমি দিতে পারবো না বলেই অন্তি সেখান থেকে চলে যায়।
.
প্রায় ২ মাস হলো অন্তি নীলের সাথে কোনো যোগাযোগ করে না। নীল এই দুই মাসে অন্তির জন্য আরো পাগল হয়ে যায়। অনেক চেষ্টা করেও সে অন্তির সাথে যোগাযোগ করতে পারে না। নীল বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছিলো হঠাৎ তাদের এক বান্ধবী এসে বললো কাল অন্তির জন্মদিন। আর ওই চায় জন্মদিনটা তোদের সাথে পালন করতে। নীল তোকে কিন্তু যাওয়ার জন্য অনেকবার বলেছে আবার মিস করিস না যেনো। কথাটা শুনেই নীল অনেক খুঁশি হয়েছে কারন অন্তি তাকেও যেতে বলেছে। সবাই মিলে প্লান করে যে অন্তিকে তারা সারপ্রাইজ দিবে তাই সব বন্ধুরা মিলে অন্তির বাসায় গিয়ে অন্তির বাসা সাঁজাতে থাকে। অন্তির রুম সাঁজাতে সাঁজাতে হঠাৎ একটা ডায়েরি নীলের চোখে পড়ে। অন্তির জন্মদিনের অনুষ্ঠান শেষ হলে নীল অন্তির অজান্তেই ডায়েরিটা নিয়ে যায়।
.
রাতে ঘুমানোর আগে নীল অন্তির ডায়েরিটা পড়া শুরু করে। ডায়েরি থেকে নীল অন্তির অতীত সম্পর্কে জানতে পারে। সেখানে কথা গুলা এমন ছিলোঃ-
.
***
কলেজে আজকে নতুন একটি ছেলের সাথে পরিচিত হলাম। কলেজে তো অনেক ছেলেই ছিলো কিন্তু কেনো জানি আমার দৃষ্টি অই ছেলেটার দিকেই বারবার যাচ্ছিলো। কোনো তো একটা বিশেষ কিছু তার ভেতর আছে কিন্তু কিছুতেই মাথায় তা ঢুকতিছিলো না। বারবার চোঁখে পড়ার কারনে ছেলেটি নিজেই এগিয়ে এলো কথা বলার জন্য। কথা বলার মাধ্যমে জানতে পারলাম তার নাম মেঘ।
.
***
আজকে মেঘ আমাকে প্রপোজ করেছে। সেদিনের পর থেকে মেঘ আমার খুব ভাল বন্ধু হয়েছিলো। আমি কিছুই বুঝতাম না মেঘের সাথে কথা বললেই কেনো জানি অদ্ভুত একধরনের ভালো লাগা কাজ করে। আস্তে আস্তে আমিও ওর প্রতি দুর্বল হয়েছিলাম তাই আর না করিনি।
.
***
খুব সুন্দর ভাবেই আমাদের দিনগুলি কেটে যাচ্ছে। মেঘ আমাকে অনেক ভালোবাসে এবং আমার অনেক যত্ন নেয়। আজ যেনো সত্যিই নিজেকে ভাগ্যবতী মনে হচ্ছে। আবার অনেক ভয়ও লাগতিছে, আমার কপালে কি এতো সুখ সইবে।
.
***
আজকে আম্মুর কাছে আমি ধরা পড়েছি। আম্মু আমার এবং মেঘের সম্পর্কের কথা জানতে পেরেছে। জানার পর থেকেই আম্মু অনেক রাগারাগি করতিছে। মেঘ আমাদের থেকে নিম্ন পরিবারের হওয়ায় বাবা কখনোই মেনে নিবে না তাই আম্মু ওকে ভুলে যেতে বলতিছে। আমি তো ওর বংশগত পরিচয়/ অর্থ দেখে ওকে ভালোবাসিনি তবে কেনো এখন ওকে ভুলে যাব।
.
***
আজকাল মেঘ যেনো কেমন হয়ে গেছে। আমাকে আর আগের মতো সময় দেয় না। মেঘকে কোনো কিছু করার কথা বললেই কেমন যেনো খারাপ ব্যবহার শুরু করে দেয়। তাকে তার পরিবার রাজী করানোর কথা বললেই সে এড়িয়ে যায়। পৃথিবীতে সব সহ্য করা যায় কিন্তু প্রিয় মানুষটার অবহেলা সহ্য করা যায় না।
.
***
সবকিছু যেনো তছনছ হয়ে গেলো, সাঁজানো-গোছানো সুখের জীবনটা যেনো ভেংগে চুরমার হয়ে গেল। মেঘ আজকে কোনো কারন ছাড়াই আমাদের দু বছরের সম্পর্কটা শেষ করে দিল। আমি মেঘকে অনেক অনুরোধ করেছিলাম এমনকি ওর পায়েও পড়েছিলাম যাতে আমায় ছেড়ে না যায়। মেঘকে বারবার বললাম আমার জন্য না হয় অন্তত আমাদের সন্তানের জন্য ও আমাকে ছেড়ে না যায়। হ্যা, মেঘের সন্তান আমার পেটে। মেঘ সম্পর্কের পর থেকেই শারীরিক সম্পর্ক করার জন্য অনেক চাপ দিতো। প্রথমে আমি রাজি না হলেও শেষে তার আবদারের কাছে পরাজিত হয়ে যাই। যাকে মন দিয়েছি তাকে শরীর দিতে দ্বিধা বোধ করেনি আর সেই আজকে আমার সাথে এমন বিশ্বাসঘাতকতা করলো।
.
***
কয়েকদিন ধরেই মাথা ব্যাথাটা যেনো বেড়ে গেছে। হয়তো সারাদিন না খেয়ে কান্না কাটি করার ফলে মাথা ব্যাথাটা বেশী হয়েছে।
.
****
আজকে নিজেকে খুব অসহায় মনে হচ্ছে। নিজের অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও এবোরশন করতে হলো। কারন এ সমাজ যে বড়ই নিষ্ঠুর, পিতৃপরিচয়হীন কোনো সন্তান যে এরা কিছুতেই মেনে নিবে না।
.
***
মাথা ব্যাথাটা সহ্য সীমার বাইরে চলে গেছিলো তাই ডাক্তারের কাছে চেক আপ করালাম। মেঘের কথা খুব মনে পড়তিছে। সে কেনো আমার সাথে এমন করলো সে যখন অন্য মেয়েকেই ভালোবাসবে তবে কেনো আমাকে নিয়ে খেলা করলো।
.
***
ডাক্তারের রিপোর্টটা আজকে পেয়েছি। তাতে যা দেখলাম তাতে আমি খুঁশি হবো নাকি দুঃখ পাবো কিছুই বুঝতিছি না। কারন আমার ব্রেন টিউমার হয়েছে এবং তা একদম শেষ পর্যায়ে এসে ধরা পড়েছে। আমার হাতে মাত্র ছয় মাস সময় আছে। এমন নির্দিষ্ট সময়ের জীবনের কথা শুনলে যে কেউই ঘাবরে যাবে কিন্তু আমার কেনো জানি তা হচ্ছে না কারন আমার সকল কষ্টের সময় সীমা এখন মাত্র ছয় মাস। মেঘ চলে গিয়ে ভালোই করেছে কারন তাকে তো আমি কখনোই পেতাম না, তবে এই ভাবে চলে না গেলেই পারতো।
.
***
আমি আমার জীবনের শেষ মুহূর্ত গুলা আনন্দের সাথে কাটাতে চেয়েছিলাম তাই তো সব সময় বন্ধুদের সাথে সময় কাটাতাম। আমার অনেক গুলা ভালো বন্ধু আছে তার মধ্যে নীল একটু বেশীই ভালো বন্ধু আমার বেশীর ভাগ সময় অর সাথেই কাটতো কিন্তু নীলও আমাকে ভালোবাসত শুরু করেছে। তাই এখন আমি ওর থেকে দূরে আছি। আমি আমার জীবনে একবার যা ভুল করেছি তা দ্বিতীয় বার আর করতে চাইনা, যদিও নীল মেঘের চেয়ে অনেক ভালো ছেলে। আমি আসলেই একটা গাধী আমার হাতেই আছে গোনা কয়েকটা দিন আর আমি এইসব কি ভাবছি।
.
***
কাল আমার জন্মদিন, হয়তো এটাই শেষ জন্মদিন। নীলের সাথে অনেক দিন হলো কোনো যোগাযোগ করা হয় না। আমি ওকে কিভাবে বুঝাই যে আমার সময় শেষ হয়ে এসেছে। কাল আমার সব বন্ধুরা আসবে সাথে নীলও। যাক সবার সাথে শেষ দেখাটা অন্তত হবে। আমি চাইনি আমার অসুখটা সবাই জানুক। জানলে হয়তো সবাই আমার প্রতি একটু বেশীই যত্ন নিতো অনেক দয়া দেখাতো, যা আমি কখনোই চাইনি। সবার মাঝ থেকে হঠাৎ করেই চলে যাব এতেই আমি খুঁশি। হয়তো আমি মারা যাওয়ার পর আম্মু-আব্বু অনেক কাঁদবে সাথে আমার বন্ধুরাও। নীলের জন্য অনেক খারাপ লাগছে তবে ওর জন্য আমার বেস্ট উইশটাই থাকলো যাতে অনেক ভালো একটা বউ পায়।
.
ডায়েরিটা পড়ে নীল পুরাই হতবিম্ব হয়ে যায়। মনের অজান্তেই চোঁখ দিয়ে পড়ছে তার। অন্তির মনে এতো কষ্ট আর অন্তি সব সময় হাসি-খুশি থাকার অভিনয় করেছে। মেয়েরা আসলেই রহস্যময়ী। নীল অন্তির অসুখটার কথা কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না। সারারাত নীল হতবিম্বের মতো এইসব ভাবতে থাকে,একটা মেয়ের মনে এতো কষ্ট ছিলো আমি বুঝার কোনো চেষ্টাই করিনি।এইসব ভাবতে ভাবতে নীল কখন যে ঘুমিয়ে পড়ে।
.
ফোনের রিং টনে নীলের ঘুম ভাংগে। বিরক্তের সাথে ফোনটা তুলতেই দেখে ৯ টা মিসকল তাসিনের নাম্বার থেকে। তাসিনকে ফোন দিতেই তাসিন ধরেই --
হ্যালো, নীল তোক সেই কখন থেকে ফোন দিচ্ছি ধরিস না কেনো??(তাসিন)
কেনো কি হয়েছে??(নীল)
তুই এখনি সিটি হাসপাতালে চলে যায়, অন্তি আজ ভোরে অনেক অসুস্থ হয়ে পড়ে ওকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।(তাসিন)
.
নীল সাথে সাথে হাসপাতালে যায়। সেখানে গিয়ে দেখে অন্তিকে আই.সি.ইউ রুমে রাখা হয়েছে। ডাক্তার এসে বললো রোগীর অবস্থা অনেক খারাপ। সব বন্ধুরা সহ অন্তির বাবা-মা সবাই হা করে দাঁড়িয়ে আছে ডাক্তারের কথা শুনে। একি বলে অন্তির ব্রেন টিউমার??
হ্যা,আমি তো উনাকে অনেক আগেই ভর্তি হতে বলেছিলাম, কেনো উনি আপনাদের কিছু জানায়নি??(ডাক্তার)
.
কিছুক্ষন পর অন্তির জ্ঞান ফিরলো কিন্তু সে কাউকে চিন্তে পারতিছে না। প্রচন্ড মাথা ব্যাথার কারনে সেন্সলেস হওয়ায় তার মাথার স্নায়ু কোষ ক্ষতি গ্রস্থ হয়ে পড়েছে। ফলে সে তার স্মরণ শক্তি হারিয়ে ফেলেছে। অন্তি শুধু সবার দিকে তাকিয়ে থাকে কিন্তু কাউকে চিন্তে পারে না। নীল অন্তির এই অবস্থা কিছুতেই মেনে নিতে পারে না। তার সামনে তার প্রিয়জন অথচো সে তাকে বলতে পাচ্ছে না অন্তি চিন্তা করিস না আমি আছি তোর সাথে, হ্যা আমি তোর সব অতীত জানতে পারছি তাও আমি তোকেই ভালোবাসি এবং তোকেই ভালোবাসব। কেনো আমায় একবারো বললি না তোর এইসব কষ্টের কথা, কেনো অন্তি কেনো।
.
অবশেষে তিনদিন মৃত্যুর সাথে লড়াই করে অন্তি পৃথিবীর মায়া ছেঁড়ে চিরতরে চলে যায়। সাথে রেখে যায় মেঘের মতো বিশ্বাসঘাতকতার প্রতি তীব্র ঘৃণা এবং নীলের মতো বন্ধুর প্রতি ভালোবাসা। নীল পুরা একমাস কারো সাথে কথা বলেনি, অন্ধকার ঘরে বসে শুধুই ডায়েরির দিকে চেয়ে থাকতো। আস্তে আস্তে নীল স্বাভাবিক হতে থাকে। স্বাভাবিক হওয়ার পর সর্বপ্রথম সে অন্তির ডায়েরিটা পুড়ে ফেলে কারন নীল চাইনি অন্তির অতীত সম্পর্কে কেউ জেনে তার প্রতি খারাপ ধারনা পোষণ করুক।আকাশের দিকে তাকিয়ে নীলের একটা কথাই মনে পড়ছে।
হায়রে দুনিয়ার অদ্ভুত খেলা। যে ভালোবাসতে চায় সে ভালোবাসার বদল পায় শুধুই কষ্ট আর হতাশা গ্রস্তময় জীবন আর যে চায় না তার ভালোবাসার অভাব হয় না।।
.
       
                           সমাপ্ত

ভালোবাসা বিষয়ক টিপস -১০

love-tips ♥ তুমি পাশে নেই তবুও তোমায় অনুভব করি। তুমি আমার হবে না জানি তবুও তোমার পথ চেয়ে আছি। সপ্ন সত্যি হবে না জানি তবু তোমায় নি...