ভালবাসা মানে বিশ্বাস, ভালোবাসা মানে সাহস। ভালোবাসা মানে ভয় ভেঙে বাধা পেরিয়ে কাছে আসার। আর সেই সব কাছে আসার গল্প নিয়ে সাজানো হয়েছে " কাছে আসার গল্প " ব্লগ সাইটি।☞হাজারো 'কাছে আসার গল্প' শুনতে আমাদের সাথেই থাকুন সব সময়।

Search

Latest update

Banner

25/09/2018

কাছে আসার গল্প : মন দিয়ে ভালোবাসি

             
                 মন দিয়ে ভালোবাসি
               লেখিকা : নাবিলা ইসহাক

আমেরিকা থেকে ফিরছে নেন্সি। এখন প্লেনে
বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে। নাহ একবার এর জন্য
যাচ্ছে না। শুধু নিজের খালা খালু কে দেখতে
যাচ্ছে। ৫ বছর ধরে দেখে নি। খালা _খালু নেন্সি
কে দেখার জন্য আত্তহারা হয়ে বসে আছে।
সিট এ বসে আনমনে জানালা দিয়ে আকাশ পানে
চেয়ে আছে নেন্সি। এই বাংলাদেশ ছেড়ে ছিলো আজ
৫ বছর আগে। চলে এসেছিলো আমেরিকা।
ছোটোবেলার ভালোবাসার মানুষ থেকে পাওয়া
ঘ্রিনা আর অপমান নিয়ে।
নেন্সি একমনে চোখ দুটি বন্ধ করে ভাবছে তার ৫ বছর
আগে ঘটে যাওয়া ঘটনা।
৫ বছর আগে....
নেন্সির বয়স ছিলো ১৫ বছর মাত্র। তখন সে ৮ এ
পড়তো। খুব মেধাবি স্টুডেন্ট ছিলো। তেমন দেখতে
ভালো ছিলো না নেন্সি। আর অনেক মোটা ছিলো।
আর তেমনি গায়ের রঙ ছিলো শ্যমলা। মা তো
ছোটবেলা এই মারা গেছেন। একমাত্র সাথী ছিলো তার বাবা। সে ও আজ মারা গেলেন। পাগলের মতো কান্না করছে নেন্সি। ৪_৫ বার অজ্ঞান ও হয়ে গেছে। তার বেচে থাকার প্রদীপ টাও নিভে গেলো যে।

বাবা মারা গেছে আজ ৭ম দিন হচ্ছে। নেন্সি
আনমনে বাহিরে আকাশের দিকে তাকিয়ে কাদছে।
তখনি রুমে কারো আসার শব্দ পেয়ে তাকিয়ে দেখলো তার খালা এসেছে।
নেন্সি কান্না পুছে খালার সামনে গেলো। খালা
নেন্সি কে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কেদে উঠে
সাথে নেন্সি ও।তাদের কান্না দেখে পাশে
দাঁড়ানো নেন্সির খালু ও কেদে দেয়। নেন্সির
একটাই খালা। আর সে নেন্সি কে পাগলের মতো
ভালোবাসেন খালু ও কম ভালোবাসেন না।
খালু নিজের চোখের পানি পুছে নেন্সি কে জড়িয়ে ধরে
তার চোখের পানি পুছে দেন।
আর বলল...

"আজ থেকে তুই আমাদের সাথে ঢাকা থাকবি
তোকে নিতে এসেছি। ওখানেই পড়াশুনা করবি।
নেন্সি কে তার খালা_খালু তাদের সাথে ঢাকা
নিয়ে আসেন। নেন্সির খালা_খালু অনেক ধনী।
কিন্তু নেন্সিরা যথেষ্ট গরিব ছিলো গ্রামে থাকতো।
নেন্সির খালা_খালুর একটা মাত্র ছেলে নাম
নিক। যেমন নাম নিক তেমনি ক্রাশ। নেন্সির থেকে ৪ বছরের বড় ইন্টার সেকেন্ডিয়ার এ পড়াশুনা করছে।
তাদের বাসায় ই থাকবে আজ থেকে নেন্সি।
নেন্সি গাড়ি করে যাচ্ছে তার খালা_খালুর
সাথে। নেন্সি বাহিরে তাকিয়ে মুচকি হেসে ফেললো
কারন এতোটুকু বয়সে সে তার খালাতো ভাই কে পছন্দ করে। শুধু পছন্দ বললে ভুল হবে ভালোবাসে।
অনেক বাহানায় ঢাকা আসতো নিক কে দেখার
জন্য। কিন্তু নিক সবসময় নেন্সি কে এভোয়েড করতো।
নেন্সি বুঝতো যে নিক তাকে দেখতে পারে না। তাও
সে নিক মন উজার করে # ভালোবাসে ।
নিক কখনি নেন্সির সাথে কথা বলতো না। কারন
নিক এর চোখে নেন্সি কালো মটকি যে কিনা পুরো
গাইয়া। তাই কখনো নিকদের বাসায় নেন্সি আসলে
এড়িয়ে যেতো। কখনো বোন হিসেবে ও কথা বলতো না
নেন্সির সাথে। আজ যখন শুনেছে নেন্সি আসবে তাই
আগেই বন্ধুর বাসায় উঠেছে। যদি ওই গাইয়া মটকি
কালো মেয়েকে না দেখতে হয়।
নেন্সি বাসায় এসে শুধু তার নিক ভাইয়া কেই
খুজছে। কিন্তু সারাদিন খুজে না পেয়ে খালা কেই
জিজ্ঞাস করলো..

" ওহ খালা বড় ভাইজান কই দেহি না যে।

" তুই খেয়ে নে ও মনে হচ্ছে আড্ডা দিতে গিয়েছে ফ্রেন্ডসদের সাথে।

" আইচ্ছা তুমি খাইবা না।তুমারে আর খালুরে
ছাড়া আমি খাইতাম না।

" আচ্ছা চল। তোর খালুরে ডেকে আন।

নেন্সি খালুর রুমে যায়। উপড়ের ২ তালায়।

" খালু আমু?

" হুম আয় মা।

" খালু চলেন একলগে খামু আমরা।

" চল মা।

নেন্সি ডিনার করে উপরে যায়। নেন্সির পাশের রুম
হলো নিক এর।
নেন্সি নিজের রুমে কিছুক্ষন পাইচারি করে নিক এর রুমে উকি দেয়। কেউ নেই তাই ধিরু পায়ে পুরো রুমটা ঘুরে ঘুরে দেখছে। নিক এর একটা ছবি নিয়ে নিজের রুমে এসে জড়িয়ে ধরে কথা বলছে...

" জানো তোমারে আমার অনেক ভালা লাগে।
একদম আমার মনের ড্রিমের প্রিন্সের মতো।
কওতো তোমারে আমার এতো কিল্লিগা ভাল
লাগে। জানো আমার সব সপ্নে তুমি থাকো। আচ্ছা আমারে কি একটু ভালোবাসা যায়। কসম কইতাছি তোমার মনের মতো হইবার চেস্টা করমু। রোদ্রে ঘুরুম না। ঢাকার ভাষায় কথা কমু। তুমি যেমন চাইবা ওমনে চলমু।

নেন্সি ছবির সাথে কথা বলতে বলতে ঘুমিয়ে পড়লো। সকাল এ ঘুম থেকে উঠে নিক এর রুম এ গিয়ে আবার হতাশ কারন নিক নেই। নিক এর রুমে বই_খাতা গিটার,ছবি সব ধরে ধরে দেখছে নেন্সি। সারা রুমে
নিক এর অনেক ছবি আর তা হেসে হেসে দেখছে নেন্সি।
হঠাত রুমে কারো আসার শব্দ পেয়ে তাকিয়ে দেখলো নিক এসেছে। নিক কে দেখেই নেন্সি অনেক বড় একটা হাসি দিলো।
আর বলল..

" বড়ভাইজান কেমন আছেন?

নিক কিছু না বলে রুমে ঢুকে। মুখটা কালা করে
বলল...

" তুই আমার রুমে আমার পারমিশান ছাড়া কেন
আসছিস।

" না ভাইজান রুম টা একবার দেখবার আইলাম।

" বের হো আর যদি না দেখি আমার রুমে এ আসতে। রুমে কেনো, আমার সামনে আসবি না তুই। বের হো।ইডিয়াট?

নেন্সি মন খারাপ করে বেড়িয়ে এলো। এইসব কথা
নেন্সি আগেও শুনেছে নিক থেকে তাই প্রস্তুত ছিলো।এই কথা গুলি নিক এর মা শুনে ফেললো। নেন্সি মন খারাপ করে রুমে এসে নিক এর ছবি দেখছে আর কথা বলছে...

" নিক তুমি ছবিতে আর আমার সপ্নেই সুন্দর। বাস্তব এ আমারে ত দেখতেই পারো না।
কিন্তু আমি তোমারে অনেক পছন্দ করি। আর অনেক দেখতে পারি।

এভাবেই দিন গেলো ১ মাস এর মতো। সবসময় নিক নেন্সিকে অপমান করতো। কিন্তু নেন্সি সে নিক কে দেখার জন্য বেকুল হয়ে আসায় বসে থাকতো কখন নিক আসবে। নেন্সি সদা দূর থেকে নিক কে দেখতো।নিক এর জন্য বারান্দাতে দাঁড়িয়ে থাকতো। কখন নিক
এর গাড়ি আসবে আর নিক এ একটু দেখবে। নিক এর রুমে উকি দেওয়া। নিক হাসলে তা লুকিয়ে দেখা। নিকের মন খারাপ থাকলে নিজেই কেদে ফেলা ছিলো
তার অভ্যাস। নিক ব্যাথা পেলে নেন্সি পাগলের
মতো করতো।নিক এর মা--বাবা জানতো যে নেন্সি নিক কে পছন্দ করে। আর তারাও নেন্সিকে নিজের ঘড়ের বউ
বানাতে চায়। তাই ঠিক করে নেন্সির সাথে নিক
এর বিয়ে দেবে।

সেদিন ছিলো নিক এর জন্মদিন বাড়িতে বড় অনুষ্টান এর আয়োজন করা হয়েছে।নিক এর সকল ফ্রেন্ড আসছে। আর নেন্সি এক কোনায় দাঁড়িয়ে আছে।নেন্সিকে দেখে নিক এর ফ্রেন্ডরা বলে উঠলো।

" ওই গাইয়া মেয়েটা কে?

নিক বলল..
" ওহ,,,,, সি,,, আস,,,আসলে আমার খালার মেয়ে।

" ওহ সি ইছ ছো গাইয়া।

সেদিন নিক এর মা_বাবা নিক আর নেন্সির
এনগেজমেন্টটা সারতে চান। তারপর নেন্সি বড়
হলে বিয়েটা দিয়ে দেবেন।নিক এর মা যখন এই এনাউন্সমেন্ট করলেন তখন নেন্সি তো খুশিতে পাগলের মতো শরম পেয়ে হেসে দিলো।
নেন্সি যে খুশি তে তার খালা খালু কে জড়িয়ে চুমু দিলো।

আর এদিকে নিক এগুলি শুনে নিজের হাতের ড্রিনক এর গ্লাসটা ছুরে ফ্লোরে মারলো আর সবার সামনে
চেচিয়ে বলে উঠলো...

" মাম্মা তুমি এগুলি কি বলছো?

আর ইউ আউট ওফ ইওর মাইন্ড। তুমি এই গাইয়া মেয়েকে আমার বউ বানাতে চাও।যাকে আমি এক মিনিট সজ্জ করতে পারি না তাকে। এই মেয়েকে তুমি আমার জন্য কিভবে সিলেক্ট করো। একে আমার বাসায় টলরেট করি বিকজ ওফ খালা।বাট তার মানে কি তুমি এই গাইয়াটাকে আমার গলায় ঝুলিয়ে দেবে।

এগুলি শুনে নেন্সির মুখ চুপসে গেলো। কান্নাও আর আসছে না নেন্সির। এখন যে মনে হচ্ছে নিজের অস্তিত্ব ও নেই। দেখতে ভালো না বলে কি ভালোবাসতে পারবে না।তার কি ভালোবাসা
বারন হয়তো।নেন্সি মাথা নিচু করে নিজের রুমে গিয়ে দরজাটা লাগিয়ে দিয়ে নিক এর ছবিটা বুকে নিয়ে হাউমাউ করে কেদে দেয়। সে তো সত্যি ভালোবাসে নিক কে।
কেন এমন করলো নিক। আমি দেখতে সুন্দরী না তাই। নিক আমি এভাবে থাকি বলে কি তুমি ভাবো আমি স্টাইল, শুদ্ধ ভাষা, ইংলিশ জানি না।তুমি হয়তো জানো যে আমি টপার। মনের মানুষ চেয়েছিলাম যে  চেহেরা বা বডি দেখে না আমার সহজ বাচ্চা মনটাকে ভালোবাসবে।
নিক সবার সামনে এগুলি বলে আরও বলে এই
বাড়িতে এই মেয়ে থাকবে নাহলে নিক।
খালা_খালু কি করবে তারা জানেন না।
একপাশে বোনের মেয়ে একপাশে নিজের ছেলে। বড্ড সমস্যায় পড়লেন তারা।
তারপর নিকের মা_বাবা ডিসাইড করলেন নেন্সি
কে আমেরিকা পাঠিয়ে দেবেন তার বন্ধুর কাছে।
নিকের বাবার বেস্ট ফ্রেন্ড নিলয় রায়জাদা সে
নেন্সি কে অনেক ভালোবাসেন নিজের মেয়ের মতো। তাদের যে কোনো ছেলে মেয়ে নেই। প্রচুর বড়লোক তারা। বাংলাদেশ আসতো নেন্সিকে দেখার জন্য মাঝে মাঝে।
যখন নিলয় রায়জাদা শুনতে পান যে নেন্সির
বাবাও মারা গেছেন তারা নেন্সিকে এডপ্ট
করতে চেয়েছেন। কিন্তু নিকের মা_বাবা দেন নি।
কিন্তু এখন বাদ্ধ হয়ে পাঠিয়ে দেবেন আমেরিকা।আজ নেন্সি চলে যাবে আমেরিকা। একবার তার ভাইজান কে দেখতে চেয়েছে। কিন্তু নিক বলেছে ওই

-গাইয়া মেয়ে বাড়ি থেকে বের হলেই ও বাড়িতে
ঢুকবে।
তাই নেন্সি একবার নিক এর রুমে গিয়ে সব
ছুয়ে কেদে দিলো নিজের চোখের পানি মুছে নিকের একটা ছবি নিয়ে রুম থেকে বেড়িয়ে এলো।খালা খালু কে সালাম করে জড়িয়ে কেদে দিলো। তারাও যে বুকে পাথর রেখে পাঠিয়ে দিচ্ছে নেন্সি কে। নিক বাসায় এসে ফ্রেস হয়ে শুয়ে পরলো। ঘুম তো তার আসছে না। কেন জানি শুধু নেন্সির হাসি ভরা
ফেসটা সামনে আসছে। হালুম হুলুম করে খাওয়া কাঠুন দেখে লাফালাফি করা, একটু পর পর নিকের রুমে উকি দেওয়া। না চাওয়া সত্তেও নিকের মনে শুধু নেন্সির কথা ভাসছে।

আমেরিকার এয়ারপোর্ট এ দাঁড়িয়ে আছে নেন্সি
পুরান ছেলোয়ার কামিজ পড়ে। নিলয় রায়জাদা
এসেছে নেন্সি কে নিতে। নেন্সিকে দেখে জড়িয়ে ধরেকপালে চুমু দিয়ে বলল..

" আমার আম্মুর সমস্যা হয় নি তো আসতে।

" জি না।

" চলো

একটা বিশাল গাড়ি নেন্সির সামনে দাড়ালো।
নিলয় রায়জাদা নিজে বসে নেন্সি কে ও বসিয়ে
দিলো। একটা বিশাল রাজমহল এর মতন বাড়িতে প্রবেশ করলো তাদের গাড়ি। কয়েকটা কাজের মেয়ে দৌড়ে আসলো এসে লাগেজ নিয়ে গেলো। নেন্সি বাড়িতে প্রবেশ করতেই নিলয় রায়জাদার ওয়াইফ রুহি রায়জাদা দৌড়েয়ে এসে জড়িয়ে ধরলো।
নেন্সির জন্য পুতুল এর মতো একটা বিশাল রুম রেডি করেছে রুহি বেগম। তার কোনো সন্তান নেই তাই নেন্সিকে পেয়ে সব আল্লাদ মিটাচ্ছেন তিনি।নেন্সি রুমে গিয়ে হতবাক এতো সুন্দর রুম জিবনে সে দেখেনি। রুহি বেগম রুমের কাবারড খুলে পুতুলের মতো একটা পেন্ট আর গেঞ্জি দিলেন পড়তে সাওয়ার
নিয়ে। নেন্সির আসার খবর শুনে সব রেডি করে কিনেছে রুহি বেগম।
নেন্সি সাওয়ার নিয়ে এসে দেখে রুহি বেগম হাতে খাবার নিয়ে বসে আছেন। নিজের হাতে নেন্সিকে খাইয়ে দিলেন।নেন্সি চোখে টলটল পানি নিয়ে খেলো।খাবার খেয়ে নিচে নেমে দেখে নিলয় রায়জাদা বসে আছেন সফায়। নেন্সি কে আসতে দেখে বললেন...

" আম্মু তোমার জন্য ইংলিশ টিচার এনেছি
বাসায়। তোমাকে ইংলিশ শিখাবে কারন এখানে
কেউ বাংলা বুঝবে না।
নেন্সি নিলয় রায়জাদা কে জড়িয়ে ধরে কেদে দিলেন। নিজের মা_বাবা কে যে তাদের ম্মদ্ধে দেখলো নেন্সি। তারাও পাগলের মতো ভালোবাসেন নেন্সিকে।
এখানে আসার পর নেন্সির বায়োলজিকেল
বাবা_মা এখন নিলয় রায়জাদা এন্ড তার
ওয়াইফ রুহি। আর তাদের একমাত্র কন্না নেন্সি
রায়জাদা। নেন্সি পড়াশুনা করছে এখানে এখন আর আগের নেন্সি নেই। সে এখন যথেস্ট সুন্দরী এবং স্লিম।নিজের গাড়ি ড্রাইভ করে চলা ফেরা করে। আগের গাইয়া নেই ইংলিশ ছাড়া কথা বলতে কষ্ট হয় তার। মন আর এখন খারাপ থাকে না। কারন তার নিউ মম ডেড তাকে মন খারাপ থাকতে দেয় না।
নেন্সির মন খারাপ থাকলেই পুরো বাড়িতে বিলাই বা অন্ন কিছু সেজে ওর মুড রেডি করে। নেন্সি খাবার না খেলে তারাও খায় না। এমন কিছু নেই যে নেন্সির জন্য করেন নি। নিলয় রায়জাদার সম্পত্তির ৫০ পারসেন্ট নেন্সির নামে। এখন কেউ শুধু নেন্সি ডাকে না। নেন্সি রায়জাদা ডাকে। সবাই তাকে নিলয় রায়জাদার মেয়ে হিসেবে চিনে।
খালা_খালুর সাথে প্রায় ভিডিও কলে কথা বলে
নেন্সি বাট কখনো একবার দেখেও নি নিক কে। আর নিক নেন্সির খোজ খবর চাইলেও নেন্সি কখনো কথা বা তার ছবি দেখে নি।

নেন্সি এখানে এসেও ঢাকায় থাকে তার দুই
বান্ধুবি নিলা আর শিলা তাদের সাথে কথা
বলে। হুম এখানে নেন্সির অনেক বড়লোক সুন্দর সুন্দর ফ্রেন্ড আছে কিন্তু নিলা আর শিলা তার কুতচিত ফেস আর মোটাপা দেখেও তাকে মন প্রানে বান্ধুবি মানতো।
নিলা আর শিলা তো নেন্সিকে মিস ওয়ার্ল্ড এর
সুন্দরী বলে। শিলা তো প্রতিদিন ফোনে বলে তুই কি সেই নেন্সি। আল্লাহ কেউ তোকে চিনবে না রে। খালা খালুর কান্নাকাটি তে নেন্সি বংলাদেশ
যাবে বলল। ভেবেছিলো জীবনে কখনো বাংলাদেশ পা রাখবে না। কিন্তু কি করার খালা খালু তাকে বুকে নেওয়ার জন্য উতলা হয়ে আছেন। তাই নেন্সির ডেড নিলয় রায়জাদা বললেন গিয়ে ঘুরে
আসতে। বাট মেয়েকে একা ছাড়তে পারবেন না। তাই ওয়াইফ কে সাথে পাঠালান। নেন্সির ডেড ও আসবেন কিন্তু ইম্পরট্যান্ট কাজ থাকায় পারেনি। কিছুদিন পরে আসবেন।
বর্তমানে....নেন্সি শিট এ হেলান দিয়ে কানে হেডফোন লাগিয়ে রেখেছিলো। কারো হাতের স্পর্শে নেন্সির ভাবনায়
ছেদ পরে। পাশে তাকিয়ে দেখে তার মম।
মম বললেন ফ্লাইট নেমে পড়েছে। নেন্সি রেডি হয়ে প্লেন থেকে নেমে এলো। এয়ারপোর্ট আসতেই দেখলো দূরে দাঁড়িয়ে আছে তার খালা খালু চোখে একরাশ
পানি নিয়ে। নেন্সি সামনে যেতেই পাগল এর মতো চুমু দিয়ে বুকে আগলে রাখলেন।
তারাও যে নেন্সিকে চিনতে পারছেন না।
মাশাল্লাহ কি রুপবতী হয়েছে তার ভাইছতি।
নেন্সি বলে উঠলো...

" ওহ কামন খালা স্টোপ ক্রাইং। আর ইয়াহ
খালু গিভ মে আ হাগ মেন।

নেন্সির খালু ও নেন্সি কে জড়িয়ে ধরলো।
বাহিরে গাড়িয়ে নিয়ে এসেছে নেন্সিদের নিতে। নেন্সি বলল...

" হেই মাই সুইটি মম তুমি খালা খালুর সাথে যাও।আমি আমার জন্য কার কিনে দেন আসবো।

" পরে কিনে নিস এখন একা যাওয়ার প্রয়োজন নেই।

" ওহ কামন সুইটি গো। আমি আসছি ওকে।

নেন্সি তাদের কথা অমান্ন করে নিজের লাগেজ
নিয়ে একটা শোরুমে ঢুকলো মন মতো পছন্দ করে ব্লাক কালারের গাড়ি কিনলো। দেন লাগেজ গাড়ীতে তুলে বেড়িয়ে পরলো তার বন্ধুবিদের সাথে দেখা করতে।
নেন্সি ফনটা হাতে নিয়ে নিলা কে কল দিলো..

" হেই নিলা হোয়ের আর ইউ

" কফি শপ এ আয়।,, ঠিকানা ......।

নেন্সি আশে পাশে জিজ্ঞাস করে ঠিকানায় পৌছিয়ে দেখলো নিলা,শিলা বসে আছে। নেন্সি কে দেখে নিলা দৌরিয়ে এসে জড়িয়ে ধরলো। নেন্সিও।তিনজন মিলে কথা বলছে তখন পাশের টেবিলে চোখ
পরতেই নেন্সি থম হয়ে গেলো। তার পাশের টেবিলে যে নিক তার ফ্রেন্ডসদের সাথে আড্ডা দিচ্ছে। একটুও চেঞ্জ হয় নি আগের মতোই স্টাইলিশ, হেন্ডসাম।
নিক হঠাত পাশে তাকিয়ে দেখে একটা মেয়ে কালো পেন্ট, হোয়াইট গেঞ্জই উপড়ে জেকেট পড়া। নিক এর কেমন জেনো টান অনুভব হলো সে তাকে চিনে এমন মনে হলো। অনেক্ষন যাবত তাকিয়ে থাকলো নেন্সির দিক। নেন্সি কিছূটা মাথা ঝুকে আবারো
নিলা,আর শিলার সাথে কথা বলা শুরু করলো।
বাট নিক শুধু নেন্সির দিক বারবার তাকাচ্ছে তার যে মেয়েটাকে কেমন অনুভব হচ্ছে। নেন্সির হাসিটা তাকে ঘায়েল করেছে।
আজ ও নিক এর জন্মদিন। বাসায় বড় পারটি থ্রো করা হয়েছে সন্ধায় শুরু হবে।
নিক তাই কফিশপে ফ্রেন্ডসদের সাথে ছেলিব্রেট
করছে। নিক এর ফ্রেন্ড গুলি হাত দিয়ে নেন্সিকে
দেখিয়ে বলছে...

" ইয়ার মেয়েটা তো সেই। এমন গফ পেলে লাইফে আর কোনো মেয়ের দিক নজর যাবে না।

নিক এর কেন জানি খারাপ লাগলো। সে নিজেও জানে না। নিক নেন্সির সাথে কথা বলার ট্রায় করার আগেই নেন্সি সেখান থেকে নিলা,শিলা কে নিয়ে বেড়িয়ে পরে। নিক এর সামনে গাড়িতে উঠে
গাড়ি ড্রাইভ করে চলে গেলো। সাধারণত কোনো
মেয়ে নিক কে এভোয়েড করে না।

নিক বাসায় চলে গেলো তার। সবাই আসা শুরু করে দিয়েছে। নিক ও পরিপাটি হয়ে
এসেছে। নিক শুনতে পেয়েছে যে আজ নেন্সি আসবে।তাই সে ও আগ্রহ নিয়ে নেন্সিকে দেখার জন্য উতলা হয়ে আছে। এই কটা বছর সে নেন্সিকে অনেক মিস করেছে।
নেন্সি নিলা আর শিলা কে নিয়ে পুরো ঢাকা ঘুরছে। ওদের অনেক কিছু খাওয়ালো আর নেন্সি ও।

সন্ধায় বাসায় আসতে হলো কারন তার মম তাকে বাসায় আসার জন্য পাগল করে তুলেছেন। নেন্সি নিলা, শিলা কে সাথে নিয়ে বাড়ির ভিতর গাড়ি ঢুকায়। বাড়ির দরজা খুলা থাকায় সবাই গাড়ির
আওয়াজ পেয়ে সামনে তাকিয়ে বড় গাড়ি দেখে।নেন্সি লাগেজ নিয়ে গাড়ি থেকে নেমে বাড়ির ভিতর ঢুকতেই অনেকে অবাক চোখে তাকিয়ে আছে। নিক তো থম।
নেন্সি ঢুকে দেখে তার খালা মুখ ফুলিয়ে রেখেছেন।
তাই নেন্সি ও সামনে গিয়ে খালার গাল টেনে
বলল...

" উফ কামন খালা। তুমি মুখ ফুলালে তোমাকে
একদম সুট করে না।তোমাকে স্মাইলেই দারুন
লাগে। সো প্লিজ গিভ আ স্মাইল।

সাথে সাথে খালা খালু হেসে দেয়। নেন্সি পাশে
তার মম কে জড়িয়ে বলে

" কামন মম তুমি আবার মুখ ফুলিয়ে রেখেছো কেন।আমার সুইট মম এর কি একটা পাপ্পি লাগবে।

মম ও হেসে দেয়। এতোক্ষন নিক এর মাথায় বড় বড় বাজ পরে সাথে নিকের বন্ধুদের মাথায় কারন এই সেই নেন্সি জারা তাকে নিয়ে মজা করে অপমান করেছিলো।
খালু যখন বলে উঠলো...

" নেন্সি যা কাপড় চেঞ্জ করে আয়। আর প্লিজ
কামিজ পড়বি তোকে ওগুলোতে দেখি না কতোদিন যাবত।

এখন নিক এর কাছে ক্লিয়ার যে ও নেন্সি। নিক
এখনো ট্রাস্ট করতে পারছে না যে এটাই নেন্সি।
পাশের থেকে নিক এর ফ্রেন্ড বলল...

" কিরে এই মেয়ে দেখি তোর খালাতো বোন। যার সাথে তোর বিয়ে হওয়ার কথা ছিলো। ইয়ার তুই তো দেখি এখন পরি পাবি। মেয়েটা তো পুরাই চেঞ্জ হয়ে এসেছে।

নিক শুধু নেন্সির চেঞ্জ দেখছে। ওর কথা ওর
চাল,চরন, ওর বিহেভার, কথার স্টাইল, পরনের
কাপড়চপর।নেন্সি নিক এর দিক একবার তাকিয়ে উপড়ে চলে গেলো। গিয়ে গোল কামিজ পড়লো মিস্টি কালার এর।
নিচে নামতেই সবাই আবার সখ খেলো।
নেন্সির মম রুহি বেগম নিজের চোখের কাজল নিয়ে নেন্সির ঘারে দিয়ে বললেন..

" কারো নজর যেনো না লাগে আমার প্রিন্সেস এর উপড়।

সবাই নেন্সির সাথে কথা বলছে নেন্সি ও কিন্তু
নিক এখনো তাকিয়ে দেখছে নেন্সিকে।
নেন্সি সাইড হয়ে দাঁড়িয়ে নিলা, শিলার সাথে
কথা বলছে।
নিক কে কেক কাটতে বলা হচ্ছে বাট নিক কেক
কাটছে না দেখে নিকের মা বলে উঠলো....

" কিরে কেক কাট

" সবাই আসলে তো কাটবো
 [ নেন্সি কে উদ্দেশ্য করে ]

তাই নেন্সি ও এসে দাড়ালো। নিক কেক কেটে
সবাইকে খাওয়ালো নেন্সিকে খাওয়াতে নিলে
নেন্সি নিজের হাতে নিয়ে খায়। নিক অনেকবার
কথা বলার ট্রায় করেছে নেন্সির সাথে বাট
নেন্সি ইগনর করছে। নেন্সির বুকের ভিতর যে তুফান চলছে ছোটো বেলার ভালোবাসা যে আবার তার সামনে।

নিক সবার সামনে চিল্লিয়ে বলল...

" নেন্সি কেমন আছো।

এখন নেন্সি ইগনরে করতে পারলো না।

সে বলল..." ভালো ভাইয়া।

নিক এর হঠাত মনে পরলো নেন্সির কথার স্টাইল...বড়ভাইজান কেমন আছো।

নিজেই হেসে উঠলো। নিক সদা বুঝতো যে নেন্সি তাকে পছন্দ করে বাট ও তো তখন ওকে দেখতে পারতো না।
পারটি সেশে নিক নিজের রুমে পাইচারি করছে।
নেন্সিকে দেখার পর থেকে ওর প্রিথিবি ঘুরছে।
নেন্সিকে যে ওনেক মনে লেগেছে নিক এর। কিন্তু কোন মুখ নিয়ে যাবে ওর কাছে। ভাবতেই বুকে বেথা অনুভব হয়। সে যে কি বাজে বিহেভ করেছিলো।নিক ধিরু পায়ে পাশের রুমে গিয়ে দেখে নেন্সির মা হাতে খাবার নিয়ে ঘুরছে আর বলছে...

" নেন্সি খেয়ে নে আরেকটু। নাহলে কিন্তু তোর ডেড কে কল করবো আমি।

" ওহ প্লিজ মম শুধু ব্লাকমেইল করো। ওকে খাচ্ছি।

নিক একটু হেসে রুমে গিয়ে ওয়েট করতে থাকলো কখন
নেন্সির মম বের হবে রুম থেকে। নেন্সির মম রুম থেকে বের হতেই নিক রুমে ঢুকে দেখে নেন্সি গিটার নিয়ে
বাজাচ্ছে আর গুন গুন করছে।
নিক বলে উঠলো।

" গিটার বাজাতে পারো।

" নো জাস্ট এভাবেই।

বলেই নেন্সি চলে যাচ্ছিলো। নিক বলল..

" রেগে আছো। আমি অনেক সরি নেন্সি।
নেন্সি তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বলল..

" ভাইয়া ডোন্ট সে সরি। দেটস নট ইওর ফল্ট আমি দেখতেই বাজে ছিলাম ইটছ ওকে।

নেন্সির কথা গুলি নিক এর বুকে গিয়ে বিধলো তাও বলল...

" পারলে মাফ করে দিয়ো। আমি আসোলে পরে
রিলাইজ করেছিলাম। বাট অনেক দেরি করে
রিলাইজ করেছি।

নেন্সি কিছু বলল না।নিক চলে গেলো তার রুমে।এভাবেই ১০_১২ দিন কেটে যাচ্ছে। নিক ও কিছু বলতে বা করতে পারছে না।

আর কিছুদিন পর চলে
যাবে নেন্সি। এই কয়েকদিন এ নিক প্রানপন চেস্টা করেছে নেন্সির সাথে কথা বলার। নিক যে সত্যি নেন্সি কে ভালোবেসে ফেলেছে। অনেক মনে পরে নেন্সির আগের রুপ।নেন্সির বলা বড়ভাইজান,নেন্সি
র গলুমলু খাওয়া দাওয়া,৷ কারটুন দেখে
লাফালাফি করা, একটু পর পর ওর রুমে উকি
দেওয়া, বারান্দায় দাড়িয়ে ওর অপেক্ষা করা।
নিজে বেথা পেলে ওর কেদে দেওয়া। নাহ নিক আর ভাবতেই পারছে না যে নেন্সি চলে যাবে। সে যে আর পারবে না ওকে ছাড়া থাকতে দেড়িতে বুঝেছে বাট বুঝেছে যে ভালোবাসে সে নেন্সিকে।

রাত ১২ টা.. নেন্সি তার ডেড এর সাথে কথা
বলে পিছনে ফিরে দেখে নিক পেন্টের পকেটে হাত দিয়েদাঁড়িয়ে।
নেন্সি বলল..

" কিছু বলবেন ভাইয়া.

নিক শুধু নেন্সিকে দেখছে আর তার আগের নেন্সিকে খুজছে। ও যে এখনো আগের নেন্সিকেই দেখছে কারন মন তো সেম।
নেন্সি আর দাড়াতে পারবে না নিক এর সামনে
তাই নিজেই বেড়িয়ে যেতে নিলে পিছন থেকে হাতে টান অনুভব করে তাকিয়ে দেখে নিক তার হাতশক্ত করে ধরে আছে।
 নেন্সি বলল...

" ভাইয়া কি করছেন ছাড়ুন হাতে লাগছে।

নিক নেন্সির হাত ধরে টেনে নিজের সাথে মিশিয়ে ধরে। নেন্সি কথা বলা ভুলে গেছে। নিক নেন্সিকে আরো নিজের সাথে চেপে ধরলো ধিরে ধিরে নেন্সির মুখের চুল গুলি শরিয়ে দিলো। নেন্সি কেপে কেপে উঠছিলো। নিক নেন্সির ঠোঁটে টাচ করে নিজের ঠোঁট
এগিয়ে নিচ্ছে।
নেন্সি চোখ খুলে নিক কে ধাক্কা দিয়ে রুম থেকে
বেড়তে নিলে নিক দরজা লক করে দেয়। তাই নেন্সি বলল...
" ভাইয়া আপনি কি আজগবি কাহিনি করছেন।
নিক কোনো আন্সার না দিয়ে নেন্সির কমড় চেপে ধরে নিজের সাথে মিশিয়ে নেন্সির গাল ধরে কিস করতে শুরু করলো। পাগলের মতো কিস করছে নেন্সি কে। আর
নেন্সি নিক কে ধাক্কা দিওয়ার ট্রায় করছে।
নেন্সি না পেরে নিক এর ঠোটে কামড় দিয়ে দেয়। বাট নিক কিছুই বলল না বরং নেন্সির দু হাত পিছনে বেকিয়ে ঘারে কিস করতে থাকে। নেন্সি সজ্জ করতে
পারছে না। তারপর বলল...

" ভাইয়া আমি কিন্তু খালাকে ডাকবো।

নিক মাথা উচু করে আবার নেন্সির দিক কিছুক্ষন তাকিয়ে আবার নেন্সির ঠোটে নিজের ঠোট বিলিন করে দিলো। এইবার নেন্সি ও শান্ত হয়ে নিক এর সার্ট
আকড়ে ধরে। আর নিক নেন্সির হাত ছেড়ে কমড় চেপে
নিজের সাথে মিশিয়ে কিস করতে থাকে। নেন্সিও কিস
করছে আর নিক ও।
দুজনি চোখ বুঝে নিজের এতোদিনের একাকিত্ত দূর করছে। নিক নিজের হাত দিয়ে নেন্সির পেটে স্লাইড করছে। পেট থেকে উপড়ে উঠাচ্ছে। আর নেন্সি আরো খিচে নিক এর সার্ট আকড়ে ধরে।
অনেকটা সময় কিস করার পর নিক নেন্সি কে ছাড়ে। নেন্সির চোখ, নাক, ঠোট লাল হয়ে আছে। নিক পরম
জত্নে নেন্সির চোখ, নাক ঠোঁটে কিস করে। নিজের কপাল নেন্সির কপালে লাগিয়ে বলল...

" সরি নেন্সি তোমাকে কষ্ট দেওয়ার জন্য বাট পরে আমি বুঝতে পেরেছি যে আমিও তোমাকে
ভালোবাসি। নেন্সি চেহেরা দিয়ে না তোমার আগের মন নিয়েই ভালোবেসেছি তোমায়। জানি বুঝতে লেট করেছি। কিন্তু তোমায় ভালোবেসে ফেলেছি যে।নেন্সি নিক কে জড়িয়ে হাউমাউ করে দেয়। পাগলের মতো কাদতে থাকে। নিক কে টাইট করে জড়িয়ে ধরে
কাদতে থাকে নেন্সি। আর নিকের চোখ লাল হয়ে
আছে এক ফোটা জল চোখ থেকে বেরিয়ে পরলো।
দুজন দুজনকে পাগলের মতো আদর করছে। আজ দুজনে কেদে তাদের কস্ট দূর করছে। তারা যে এখন
নিজেদের সুখ খুজে পেয়েছে।
সেইদিন এর পর থেকে তাদের ভালোবাসা শুরু হয়।

একদিন হঠাত নেন্সির গাড়ি এক্সিডেন্ট করে
যেখানে নেন্সির পুরো বডি পুরে যায়।
নেন্সি বেড এ শুয়ে চোখের পানি ফেলছে কারন তার চেহেরা দেখে ডাক্তার প্রজন্ত ভয় পাচ্ছে এই
পুরা দাগ সারতে অনেক সময় লাগবে। নেন্সি
হাউমাউ করে কাদছে সে জানে নিক ওকে দেখলে আবার চলে যাবে আবার ঘ্রিনা করবে। কিন্তু এখন নিক চলে গেলে সে যে নিক কে ঘ্রিনা করতে পারবে না। নিক পাগলের মতো হসপিটাল পৌছিয়ে দেখে
নেন্সি বেডে শুয়ে আছে অন্যপাশ ফিরে। নেন্সির
চোখের পানি ঝড়ে পড়ছে কারন নিক তার চেহেরা দেখে ভালোবেসে ছিলো হয়ত দেখলে আবার ভয় পেয়ে
চলে যাবে। নিক কাদতে কাদতে নেন্সি দিক আগায়।
নিক গিয়ে নেন্সির মুখটা নিজের দিক ঘুরায়। আর
নেন্সি চোখ বন্ধ করে কেদে দেয়। নিক আলতো করে পুরো
মুখটা ছুয়ে কপালে একটা চুমু দিয়ে বলল।

" কিচ্ছু হবে না তুমি তারাতারি শুস্থ হয়ে যাবে।
আমি তোমায় সুস্থ করবো।

নিক নেন্সিকে জড়িয়ে ধরে আর নেন্সি কেদে দেয়। সেই দিনের ঘটনার পর নিক সারাদিন নেন্সির পাশে
থাকে ওর খেয়াল নেয়। এখন নেন্সি অনেক শুস্থ।

আজ নিক নেন্সির বিয়ে। হুম মুখে এখনো নেন্সির দাগ বাট সেই দাগেই চুমু খায় নিক। এক বিন্দু ভালোবাসা কমে নি তার বরং বেরেছে।
ভালোবাসা চেহেরা না মন দিয়ে হয়। আর তা
সারা জীবনের জন্য। পারফেক্ট জীবন সাথী সবার আছে। শুধু তার জন্য অপেক্ষা কর সে ধরা দেবে।মিত্থা ভালোবাসা খেলে জীবনটা কে নষ্ট করো না।

চেহেরা দেখে নয় মন দিয়ে ভালোবাসো।
সারাটাজীবন সুখে থাকবে ইনশাআল্লাহ।



                           সমাপ্ত

কমেন্ট বক্সে অবশ্যই কমেন্ট করে
    জানাবেন গল্পটি কেমন লাগব.....ধন্যবাদ *

   




ভালোবাসা বিষয়ক টিপস -১০

love-tips ♥ তুমি পাশে নেই তবুও তোমায় অনুভব করি। তুমি আমার হবে না জানি তবুও তোমার পথ চেয়ে আছি। সপ্ন সত্যি হবে না জানি তবু তোমায় নি...