বাস্তব জীবনের গল্প : একটা ধর্ষিতা মেয়ের কাহানী

একটি ধর্ষিতার মেয়ের কাছে,
আমার প্রশ্ন??
প্রশ্ন:- ওরা তোমাকে ধর্ষন করছেন কেনো?
যুবতী:- জানিনা

বাস্তব জীবনের গল্প : একটা ধর্ষিতা মেয়ের কাহানী

প্রশ্ন:- ওরা কি তোমার বাবা ছিল?
যুবতী:- না
প্রশ্ন:- তোমার ভাই ছিল?
যুবতী:- না
প্রশ্ন:- তোমার স্বামী?
যুবতী:- তাও না।
প্রশ্ন:- তাহলে নিশ্চয় বিএফ ছিল?
যুবতী:- আরে ওটাও না।
প্রশ্ন:- তাহলে ওরা কারা?
যুবতী:- ওরা জাস্ট ফ্রেন্ড ছিল!!
প্রশ্ন:- জাস্ট ফ্রেন্ডের সাথে তুমি কিসের ভরসায় এত রাতে হোটেলে গেলে?
যুবতী:- আরে আমি কি কারোর মনে ঢুকে দেখেছি নাকি যে কার মনে কি আছে
প্রশ্ন:- এখানেই তুমি ভুলটা করলে।
যুবতী:- কিভাবে?
প্রশ্ন:- আচ্ছা ব্যাংকে যে এত লোক ঢুকে, ব্যাংক
ম্যানেজার কি বুঝতে পারে কার মনে কি আছে?
যুবতী:- না,
প্রশ্ন:- তাকে কি কখনো দেখেছো, তার মূল্যবান সম্পদ,
টাকা পয়সা ভোল্ড ছাড়া যেখানে সেখানে রাখতে?
যুবতী:- না।
প্রশ্ন:- আচ্ছা, জুয়েলারি দোকানেও তো অনেক লোক
ঢুকে, তারাও কি বুঝতে পারে কার মনে কি আছে?
যুবতী:- না,
প্রশ্ন:- তাদেরকেও কি কখনো দেখেছো, তাদের মূল্যবান
গোল্ড, ডায়মন্ডগুলো লকার ছাড়া যত্রতত্র রাখতে?
যুবতী:- না।
প্রশ্ন:- রাস্তায় তো অনেক মানুষ ঘুরাঘুরি করে, আমরা
কি কখনো বুঝতে পারি কার মনে কি আছে?
যুবতী:- না,
প্রশ্ন:- আমরা কেউ অনেক টাকা পয়সা, বা মূলবান কোন
বস্তু নিয়ে কোন নির্জন রাস্তা, গভীর রাতে যত্রতত্র ঘুরতে
বা যেতে কোন প্রকার নিরাপত্তা বা সতর্কতা ছাড়া?
যুবতী:- না।
প্রশ্ন:- তাহলে কেন তুমি এমন ভুলটা করলে? কোন প্রকার
সতর্কতা বা নিরাপত্তা না নিয়ে গভীর রাতে জাস্ট ফ্রেন্ডের সাথে হোটেলে গেলে?
যুবতী:- আমি তো বললাম আমার ভুল হয়েগেছে, এখন কি আপনি আমার বিচার করবেন নাকি ধর্ষকের বিচার করবেন?
প্রশ্ন:- অবশ্যয় ধর্ষকের বিচার হবে, সেই সাথে তোমারও
বিচার হবে। ধর্ষকের হবে আদালতে,
তোমার হবে সামাজিক ভাবে।
যুবতী:- আমার কি অপরাধ? আমি কি করেছি?
প্রশ্ন:- ব্যাংক যখন লুট হয় তখন ডাকাতের যেমন বিচার হয়,
তেমনি ব্যাংক ম্যানেজারেরও বিচার হয়, যথাযথভাবে
নিরাপত্তা ব্যবস্থা না নেওয়ার জন্য। তোমার অপরাধ হচ্ছে, ওরা তোমার বাবা, ভাই, স্বামী না হওয়ার শর্তেও "জাস্ট ফ্রেন্ডের" সাথে বেড়াতে গিয়েছ, হোটেলে গিয়েছো।
তোমাদের মত মেয়েগুলো যার তার সাথে মেলামেশা করবে, যেখানে সেখানে রাত্রী যাপন করবে, তারপর বলবে
আমি ইজ্জৎ হারিয়েছি,
আমি ইজ্জৎ হারিয়েছি!"
বিচার চাই, বিচার চাই"!
তোমরাই সমাজকে কূলষিত করছো, তাই তোমাদের বিচার
সামাজিক ভাবেই হওয়া উচিৎ....
এবং ধর্ষকের বিচার রাষ্ট্রিয় আদালতে।

সত্য বললে গায়ে লাগে.....
আজকাল অনেক মেয়েদেরই
এমন ধরনের লোভ ধরে গেছে যে....
না হয় একটু আকটু দুষ্টুমি করলই.. বিনিময়ে যদি কিছু গিফট, শপিং, নগদ টাকা, প্রাইভেটে রাইডিং এগুলা পাই_লস কই...!!
বেশি কিছু করতে চাইলে না হয় বাধা দেওয়া যাবে....
মাগার শেষ পর্যন্ত তাও হারায়...
তারপর বিচার চাই বিচার চাই বলে হায় হুতাস করে...
এইসব কথা বর্তমান যুগের যুবতীরাও ভালো করেই বুঝে
কিন্তু
তবুও তারা গভীর রাতে হোটেলে জাস্ট ফ্রেন্ডদের সাথে যায়।
যদি কোনো অঘটন না ঘটে তাহলে ফ্রেন্ডরা ফেরেশতা,
আর যদি অঘটনা ঘটে তাহলে সব দোষ ধর্ষকদের।
ধর্ষকরা যেমন ঘটনার জন্য ১০০ ভাগ দায়ী,
ঠিক তেমনি সেই সকল মেয়েরাও যাদের নিজেদের কাছেই নিজেদের মুল্য শুন্য।
শাস্তি উভয় একই হওয়া উচিত???

বিঃদ্রঃ- আমার এই পোস্টটি পড়ে যদি কারো কাছে খারাপ লাগে, তবে আমার কিছু করার নাই।